প্রায় ৪ মাস পর অপহরণের শিকার ২৮ বছরের তরুণীর গলিত মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্ত করলো বাবা।
ভিকটিমের বাবা জানান, জানুয়ারির ১৮ তারিখ দুপুরে তার কন্যাকে এলকার পল্লব বর্মন (৩৮) অপহরণ করে। অপহরণের পরপরই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় মামলা করে ভিকটিমের বাবা।
পুলিশ জানায়, এপ্রিলের ১ তারিখ চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে আবদুল নগরের নজির আহমেদের বাড়ির বন্ধ কক্ষ থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে ময়না তদন্তের পর দাফন সম্পন্ন করে পুলিশ।
তবে মরদেহ যে ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়, সেখান থেকে পাওয়া সুক্ষ্ম একটি আলামতের সূত্র ধরে ভিকটিমের বাবাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পরে ২৬শে এপ্রিল পাহাড়তলী থানায় ভিকটিমের জামা কাপড় দেখে লাশটি নিজের মেয়ের বলে শনাক্ত করে ভিকটিমের পিতা। এ বিষয়ে পাহাড়তলি থানায়ও একটি হত্যা মামলা করা হয়।
ভিকটিমের পিতার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একাধিক অভিযানের মাধ্যমে ৯ই মে ভোর রাতে আসামী পল্লব বর্মনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে আসামি পল্লব। ২রা মার্চ ভিকটিমকে বেলের শরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যা করে এবং ভিকটিমের টাকা পয়সা নিয়ে ঘরের বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানায় মামলার প্রধান আসামি।
প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহত ভিকটিম নারী ও আসামি পল্লব বর্মণ দুজনের বাড়িই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায়।