fbpx

প্রেম-বিয়ে ম্যাক্রোকে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করে তুলেছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। টানা দুইবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হয়ে গড়েছেন ইতিহাস।
রাজনৈতিক দৌড়ে ম্যাক্রোকে সামলাতে হয়েছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়। বারবার পড়তে হয়েছে ট্রোলের মুখে। তবে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক তিনি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর- প্রিয়তম স্ত্রী, শিক্ষক- ব্রিজিথ তোনিয়ো।

প্রেম-বিয়ে ম্যাক্রোকে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করে তুলেছে

ডানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ও বামে ফার্স্ট লেডি ব্রিজিথ তোনিয়ো। ছবি: সংগৃহীত

১৬ বছর বয়সী কিশোর ম্যাক্রো প্রেমে পড়েছিলেন ২৫ বছরের বড় অর্থাৎ ৪১ বছর বয়সী ব্রিজিথ তোনিয়োর। তিনি ছিলেন ম্যাক্রোর স্কুলের নাটকের শিক্ষক। তোনিয়োর তখন স্বামী ও তিন সন্তানের সংসার। এমনকি তার এক মেয়েও ম্যাক্রোর সহপাঠীই ছিলেন। বয়সে এত বড় হওয়ায় সেই প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ম্যাক্রোর পরিবার। এরপর অন্য স্কুলে ভর্তি হন তিনি। তবে প্র্রথম ভালবাসার বিরহ ম্যাক্রোকে যেন তোনিয়োর ওপর আরও আকৃষ্ট করে।

এরপর শুরু হয় দুজনের ফোনালাপ। ধীরে ধীরে ম্যাক্রোর ভালবাসায় মুগ্ধ হন তোনিয়ো। জড়ান প্রেমের সম্পর্কে। ২০০৬ সালে স্বামীকে ডিভোর্স দেন তিনি। পরের বছরেরই ম্যাক্রো- তোনিয়োর চার হাত এক হয়।

প্রেম-বিয়ে ম্যাক্রোকে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করে তুলেছে

ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তোনিয়ো জানান, ছোট বেলা থেকেই ভীষণ রকম মেধাবী ছিলেন ম্যাক্রো। ছিলেন একেবারেই অন্যরকম। তাই হয়তো অন্যরকম প্রেমের পথে হাঁটতেও পিছুপা হননি ম্যাক্রো।

অনেকেই বলেন ব্যক্তিগত জীবন ছাড়িয়েও পেশাগত জীবনে অভিভাবকের মত ম্যাক্রোকে আগলে রেখেছেন ব্রিজিথ তোনিয়ো। প্রিয়তম স্ত্রীর অবদানের প্রতিদান দিয়েছেন ম্যাক্রোও। অকপটেই স্বীকার করেছেন, ছায়ার মত পাশে থাকা মানুষটির জন্যই তিনি হয়েছেন আত্মবিশ্বাসী।

প্রেম-বিয়ে ম্যাক্রোকে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করে তুলেছে

ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, তাদের সম্পর্ক নিয়ে বিরোধীরা মুখরোচক কথায় সরব হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের নির্বাচনের আগেও একই রকম ট্রোলের মুখে পড়েন তারা। বিরোধী শিবির থেকে ফার্স্ট লেডি ব্রিজিথ তোনিয়োর লিঙ্গ পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছিল, তোনিয়ো রুপান্তরকামী এক নারী।

২০১৭ সালের দিকে এক সাংবাদিক বলেছিলেন, ম্যাক্রো নিজের থেকে ২৫ বছর বয়সী বড় নারীকে যেভাবে আকর্ষণ করেছেন সেভাবেই ফ্রান্সের মানুষের মনও জয় করবেন। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলো।

প্রেম-বিয়ে ম্যাক্রোকে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করে তুলেছে

ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর বয়স এখন ৪৪। আর ফার্স্ট লেডি ব্রিজিথ তোনিয়ো- ৬৯। প্রেমময় পথের এখনও আনেক বাকি।

 

https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/683041726264828

Advertisement
Share.

Leave A Reply