ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনের জনগণের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তার কিস্তি প্রদান স্থগিত করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর নেইবাওয়ারহুড অ্যান্ড এনলার্জমেন্ট বিভাগের কমিশনার অলিভার ভারহেইলি সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বার্তায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধের জন্য হামাসকে সরাসরি দায়ী করে অলিভার বলেন, ‘ইসরায়েল ও সেখানকার লোকজনের ওপর গত কয়েক দিন ধরে যে নজিরবিহীন নিষ্ঠুরতা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানে শান্তি ফিরে না আসে, (ফিলিস্তিনে) আমাদের যাবতীয় সহায়তা বন্ধ থাকবে।’
শনিবার ভোররাতে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
কাছাকাছি সময়ে হ্যাং গ্লাইডার ও মোটরচালিত গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করেন। সেই সঙ্গে ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তারা।
তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন আরও কয়েক শ’হামাস যোদ্ধা,শুরু হয় যুদ্ধ।
যুদ্ধের প্রাথমিক অপ্রস্তুত ভাব কেটে যাওয়ার পর পূর্ণ শক্তিতে ময়দানে নামে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলে ৮ শতাধিক ও গাজায় ৫৬০, অর্থাৎ উভয়পক্ষে মোট নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩শ’রও বেশি মানুষ।
সোমবারের এক্স পোস্টে ইইউ কমিশনার বলেন, ‘ইইউ সবসময় শান্তি, সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের পক্ষপাতী। উসকানি, ঘৃণা, সন্ত্রাসকে মহান করে প্রদর্শন করাকে ইইউ কখনও সমর্থন করে না এবং এই জোট বিশ্বাস করে, মানুষের মনকে বিষাক্ত করতে পারে- এমন কোনো কিছুকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। আমরা এই যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ দেখতে চাই এবং তা এখনই চাই।