fbpx

ফেব্রুয়ারি মাসে কমেছে মূল্যস্ফীতি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফেব্রুয়ারি কমেছে মাসে দেশে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম কমার কারণে দেশের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশের মূল্যস্ফীতি জানুয়ারি থেকে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে ঠেকেছে। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে মূল্যস্ফীতির এ হালনাগাদ তথ্য জানা গেছে। মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো পণ্যের মূল্য ১০০ টাকা হলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা ১০৯ টাকা ৬৭ পয়সায় কিনতে হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে দেশের খাদ্যের গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যেখানে জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গ্রামের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যেখানে শহরের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি কমার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারিতে মজুরি বৃদ্ধির হার সামান্য বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে সামান্য বেড়ে ফেব্রুয়ারিতে মজুরি হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে মজুরি বাড়লেও গত ২৫ মাস ধরে থাকা মূল্যস্ফীতির চেয়ে এ হার পিছিয়ে রয়েছে।

২০২২ সালের আগস্ট মাসের ৫ তারিখ দেশে তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। এখন পর্যন্ত সেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব রয়েছে অর্থনীতিতে। যদিও চলতি অর্থবছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার। কিন্তু কোনোভাবেই গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement
Share.

Leave A Reply