fbpx

ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি, ফেরি চালাতে অনীহা মাস্টারদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চালাতে আপত্তি জানিয়েছেন চালকরা। এদিকে এই পথে এখন শুধু সকাল-সন্ধ্যা ফেরি চলায় এবং ফেরির সংখ্যা কম থাকায় ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়তে পারেন।

এমন পরিস্থিতিতে ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি কমাতে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো এবং ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু রাখার দাবি যাত্রীদের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটে কর্মরত ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, গত বছর জুলাই ও আগস্ট মাসে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে কয়েক দফায় পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী হতাহত হন এবং ফেরির ধাক্কায় পদ্মা সেতুর পাইল ক্যাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই পথে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েক দফায় সীমিত আকারে ফেরি চালু হয় এবং বন্ধও করা হয়।

পরবর্তীতে দুর্ঘটনা এড়াতে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দি ঘাটে ফেরিঘাট স্থানান্তর করা হয়। এই ঘাট দিয়ে দিনের বেলায় মাত্র তিনটি ফেরি চলাচল করে। পরে গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছোট ছোট পাঁচটি ফেরি দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার শুরু করা হয়।

এই পথে শুধু দিনের বেলায় এখন মোট ছোট বড় সাতটি ফেরি চলাচল করে। রো-রো ফেরিসহ মাত্র চারটি বড় ফেরি ও মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলে তিনটি ফেরি। তবে মাঝে মাঝে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। টার্মিনালে সিরিয়ালে থাকতে হয় যানবাহনগুলোকে।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে এখন ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চগুলো প্রস্তুত।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘গত বছর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চলেছে, এবার নাকি দুই রুটে ১০টির মতো ফেরি চলবে। এত দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাব, দিনের বেলায় অন্তত সতর্কতার সঙ্গে সব ফেরিই চালু রাখার। রাতে সব না চললেও হয়। তবে ফেরি যদি কম চলে, তাহলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।’

তবে ফেরির মাস্টাররা এই রুটে ফেরি চালাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। রো-রো ফেরি বেগম সুফিয়া কামালের মাস্টার ইনচার্জ মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার কারণে অনেক সময় ফেরি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগারও সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অনেক সময় ঘূর্ণায়মান স্রোতের কারণে ফেরি ব্রিজের পিলারের দিকে চলে যায়। দিনের বেলায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও রাতে তো তা সম্ভব না। তাই ঈদের কারণে কর্তৃপক্ষ বললেও আমাদের অনীহা রয়েছে।’

যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা নাকচ করে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি দুই ঘাট মিলে সাতটি ফেরি চলছে। তবে ঈদে মোট ১০টি ফেরি চলাচল করবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ একটু কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা এবার দুই রুটেই লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল করছে। অন্যদিকে বরিশাল-ঢাকা লঞ্চ চলবে, দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সেখান দিয়েই যাতায়াত করবে। ফলে গতবারের চেয়ে ফেরিতে চাপ কম হবে। তারপরে রাতে ফেরির চলাচলের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হলে রাতেও ফেরি চলবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply