বন্যায় মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৯ জুন) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাফ চ্যাম্পিয়ন অনুর্ধ্ব-১৯ নারী জাতীয় ফুটবল দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা বাড়ছে, অপরদিকে ব্যাপক বন্যা। সিলেট বিভাগে এবার ব্যাপক হারে বন্যা এসেছে। এখন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। প্রশাসন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কাজ করছে। সব ব্যবস্থা নিয়েছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগও কাজ করছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, যা যা দরকার তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ সুনামগঞ্জ থেকে পানি কিছুটা নামতে শুরু করছে। এদিকে, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যা হতে পারে। এ বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক অবস্থানে আছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হচ্ছে। প্রকৃতির এই খেলার মধ্যেই আমাদের বাঁচতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান জানান, আমরা পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছি। ১০ থেকে ১২ বছর পর পর বড় ধরনের একটা বন্যা দেশে আসে। এবারও অনেক আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম। এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। বন্যায় মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সবাইকে বলেছিলাম, বন্যাটা এবার ভয়াবহ আকারে আসবে; আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কাজেই আমাদের প্রস্তুতি কিন্তু আছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই পানি যখন নামবে, কোনো না কোনো নতুন অঞ্চল যখন প্লাবিত হবে, ঠিক শ্রাবণ মাস পর্যন্ত থাকবে। আবার শ্রাবণ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলটা প্লাবিত হবে। কাজেই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশটা যদি আমরা দীর্ঘদিন থেকে দেখি, এটাই হচ্ছে নিয়ম, এটা হবে।’