বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে মালদ্বীপের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ যৌথভাবে কাজ করার কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় বঙ্গভবনে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফরে আসেন মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ফয়সাল নাসিম করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান। আবদুল হামিদ এ সময় বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হচ্ছে। উপ-রাষ্ট্রপতির এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
মালদ্বীপে বাংলাদেশের জনশক্তির চাহিদার কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দক্ষ জনশক্তি রফতানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সেই লক্ষ্যে দেশে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে’।
করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের অনেক সাফল্য উল্লেখ করে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে বেশী সাফল্য অর্জন করেছে। এছাড়া, তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এ সময় ফয়সাল নাসিমের সাথে ছিলেন মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ডক্টর ইব্রাহিম হাসান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ নাসিম, মালদ্বীপের পররাষ্ট্র সচিব আব্দুল গাফুর মোহামেদ এবং বাংলাদেশে মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাত সামী।
আলোচনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, সচিব মো. জয়নাল আবেদিন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
আলোচনা শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন ফয়সাল নাসিম।