fbpx

বাদ যাবেনা হেফাজতের শীর্ষ নেতারাও

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজধানীসহ সারাদেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালানোয় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। ভিডিও ফুটেজ দেখে চলছে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেও।

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে আসেন। মোদী সফরের বিরোধিতা করে ২৬ মার্চে এবং তার পর কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের কর্মসূচি থেকে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয় এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

এসময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেন। তারা বঙ্গবন্ধুর মুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া রেললাইন, রেলস্টেশন, ভূমি অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিস, থানায় হামলা ও অস্ত্র লুট, ইউএনও অফিস, আওয়ামী লীগ অফিস, বাড়িঘর, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে সরকার ও প্রশাসনের হাতে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এসব ধ্বংসাত্মক ঘটনায় অর্ধশতধিক মামলাও হয়েছে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

ধ্বংসযজ্ঞে সরাসরি জড়িত ও নেতৃত্বদান কারীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়বেন না হেফাজতের শীর্ষ নেতারাও।

গত ১৩ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ধর্মের নামে স্বার্থ হাসিলের নোংরা রাজনীতি এবং সম্পদ নষ্ট করছে করছে যারা,ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের ধরা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাণ্ডবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply