fbpx

বান্দরবান জুড়ে আতঙ্ক, পুলিশের সহযোগিতায় পরীক্ষা দিচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের অপর প্রান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিরামহীনভাবে চলছে গোলাগুলি। শনিবার সকাল নয়টার পরপরই শুরু হয় গোলাগুলি। গত একমাস ধরেই চলছে এ অবস্থা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে এসে পড়ে।

সবশেষ গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারের নিক্ষেপ করা মর্টারের একাধিক গোলা সীমান্ত পাহাড়ের পাদদেশের শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে এসে পড়ে। এ ঘটনায় মো. ইকবাল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। আহত হয় ওই আশ্রয়শিবিরের আরও পাঁচ রোহিঙ্গা।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়। এর আগে এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদুতকে একাধিকবার তলব করে ঢাকা।

রোহিঙ্গা শিবিরে মৃত্যুর পর সীমান্তবাসীদের মাঝে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। ভয়ে স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঝুঁকি এড়াতে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকটবর্তী কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, তিন দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পুণরায় গুলি ও মর্টারের গোলার প্রকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের সর্বত্র চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সকালে পুলিশের সহযোগিতায় ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

গতকাল মিয়ানমারের গোলায় আহত পাঁচ রোহিঙ্গা বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাদিয়া নামের এক শিশুকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজী সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বারসহ তুমব্রু ইউনিয়ন বাসীদের আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply