শরৎ এসে গেলেও বর্ষা যাওয়ার নাম নেই। টানা বৃষ্টি কিছুটা কমে এলেও মেঘাচ্ছন্ন ভাব পুরোপুরি কাটেনি বাংলাদেশের আকাশ থেকে। এক সপ্তাহের মাথায় আরেক দফা বৃষ্টির দাপট দেখা যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘বর্ষার শেষ সময়ে এসে অক্টোবরে সপ্তাহ ধরে যে ভারি বর্ষণ হচ্ছিল তা কমে আসছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার পাশাপাশি লঘুচাপের প্রভাবে এমন অতি ভারি বর্ষণ হচ্ছিল। তবে ১২ অথবা ১৩ অক্টোবরের পর আরেক দফা বৃষ্টির দাপট শেষে বর্ষার বিদায় ঘটবে।‘
এদিকে টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের পর ঢাকায় রোদের দেখা মিললেও রাজধানীর বাইরের বৃষ্টি থামেনি। শনিবার দেশে সর্বোচ্চ ৩০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে সিলেটে। এতে নগরের অর্ধশতাধিক এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই অক্টোবরেই ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৪৭৬ মিলিমিটার এবং ময়মনসিংহে ৩৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে একটি লঘুচাপ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।