fbpx

বিপন্ন ভাষা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের বিপন্ন ভাষাগুলোকে সংগ্রহ ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্প (ইবিএলআইসিটি) ও বাস্তবায়ন সহযোগী ড্রিম ৭১ বাংলাদেশ লিমিটেড আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইবিএলআইসিটির প্রকল্প পরিচালক মাহবুব করিম।

কর্মশালায় জানানো হয়েছে, সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে বাংলাসহ ৪১টি জীবিত ভাষা আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভাষা বিপন্নপ্রায়। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই এ ভাষাগুলো হারিয়ে যাবে। চিহ্নিত ১৪টি বিপন্ন ভাষা হলো কন্দ, খারিয়া, কোডা, সাওরিয়া, মুন্ডা, কোল, মালতো, খুমি, পাংখোয়া, চাক, খিয়াং, লুসাই, লালেং ও রেংমিটচা। এর মধ্যে বর্তমানে রেংমিটচা ভাষা ব্যবহারকারী রয়েছে মাত্র ছয়জন।

বক্তারা বলেন, লিখিত রূপ থাকা ২৬টি ভাষার মধ্যে হাজং, সাদরি, কোডা ও বৈষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ব্যবহার করে বাংলা বর্ণমালা। নিজস্ব লিপি ব্যবহার করে মারমা, ম্রো, মৈতৈ মণিপুরি, চাক, তঞ্চঙ্গ্যা, চাকমা, রাখাইন ও উর্দু। বম, কোল, কশবরক, খাসিয়া, গারো, লুসাই, মাহালি, পাংখোয়া, আবেং, আত্তং, মিগাম, কোচ, খিয়াং ও খুমি রোমান লিপি ব্যবহার করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভাষাগুলোর বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন, যাতে ডিজিটাল যুগে ভাষাগুলোকে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সত্যহা পানজি ত্রিপুরা, সিয়ং খুমি এবং ইবিএলআইসিটি-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ খন্দকার রাজেকুল ইসলাম। আমন্ত্রিত রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন মারমা ভাষা বিশেষজ্ঞ ও ভাষা প্রশিক্ষক ক্যশৈপ্রু (খোকা মাস্টার), বম ভাষা গবেষক ড. সানথুয়ান লঞ্চেও বম, ম্রো ভাষার ব্যাকরণ প্রণেতা ইয়াঙান ম্রো, বম জাতির প্রতিনিধি জোয়ানলিয়ান আমলাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply