fbpx

মডেল ও অভিনেত্রী তিনার বাবার আত্মহত্যা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মডেল ও অভিনেত্রী তিনার বাবা আবু মহসিন খান আত্মহত্যা করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। মৃত মহসিন চিত্রনায়ক রিয়াজেরও শ্বশুর।

থানা পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, ধানমন্ডির নিজ বাসায় একাই থাকতেন এই ব্যবসায়ী।নিজের পিস্তল দিয়ে তিনি নিজের মাথায় গুলি করেছেন।

আত্মহত্যার আগে তিনি ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি মহসীন। এক সময় আমি ভালো ব্যবসায়ী ছিলাম। বর্তমানে আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। আজকে লাইভে আসার কারণ হলো- বাস্তবতা হলো, আমার যে অভিজ্ঞতা, মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারলে হয়ত শিখতে পারবে। কিছুদিন আগে আমার খালা মারা গেছেন, তার এক ছেলে আমেরিকায় থাকেন। কিন্তু ছেলেটা আসেনি। এটা আমাকে দুঃখ দিয়েছে, কষ্ট দিয়েছে। আজ আমার এক খালা মারা গেছেন, তার একটি ছেলে আমেরিকায় ছিল। তার তিনটা ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, তারা ঢাকায় আছেন। মায়ের দাফন কাফন করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমার একটা মাত্র ছেলে আস্ট্রেলিয়ায় থাকে। আমি বাসায় একা থাকি। খালা মারা যাওয়ার পর আমার খুব ভয় করছে, আমি যদি মরে পড়েও থাকি এক সপ্তাহে কেউ জানবে না আমি মরে পড়ে আছি।

গত করোনা শুরুর আগে থেকে আমি বাংলাদেশে আছি। একা থাকা যে কি কষ্ট; যারা একা থাকে তারাই বোঝে। আমার এখন পৃথিবীর মানুষের প্রতি কোন আবেগ নেই। আমি প্রতারিত হয়েছি। আমি মানুষের কাছ থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা পাই। পৃথিবীতে একটা জিনিস দেখলাম, ছেলে বলেন মেয়ে বলেন, স্ত্রী বলেন কেউ কারো নয়। আজকে যেভাবে মেইনটেন্ট করেন, কালকে হয়ত পারবেন না। এটা পরিবারের লোকজন মেনে নিতে পারে না। স্ত্রী ও পরিবারকে বুঝতে হবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনকাম করতে পারে না। অনেকদিন থেকে আমি আপসেট। আমি যতটুকু করেছি নিজের চেষ্টায় করেছি।নিজের উপর নিজে এতটায় বিতৃষ্ণায় জন্মছে যে বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই। ভেতরে অনেক কষ্ট; শেয়ার করলাম। অনেকেই দেখছেন, কারো সঙ্গে যদি অন্যায় করে থাকি ক্ষমা করবেন।

সন্তানদের নিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত বাবা চেষ্টা করেন সন্তানদের মানুষ করার। এটা সন্তানদের বোঝা উচিত। নিজেকে আর মানায় নিতে পারলাম না। এটাই শেষ দেখা। সবাই ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেটা দিয়ে সুইসাইট করার চেষ্টা করেছি, এটা অবৈধ না; লাইন্সেস করা।

‘মোহাম্মাদপুর কবরস্থানে আমাকে দাফন করা হোক। বাবা, ভাই সবাই আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।পৃথিবীটা সুন্দর সবাই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায়। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। তিনা ও নিশান তোমরা দুই ভাই বোন। মিলে মিশে থেকো। খোঁজখবর নিও।’

চলচ্চিত্রে তিনার আগমন শিশুকালে। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবানা প্রযোজিত ‘স্বামী কেন আসামি’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তিনা। এছাড়া অভিনয় করেছেন ‘ব্ল্যাক আউট’ চলচ্চিত্রে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply