ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেখানে হওয়া আলোচনার কথা তুলে ধরে দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের ওই সাক্ষাৎ হয়। বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এসময় বিএনপি নেতাদের প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘ভূত’ মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিলাম। আজকে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরকে আমরা বলে এসেছি, ইট ইজ নট পসিবল টু রিটার্ন টু সো কল্ড কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট অ্যাগেইন।’
বিএনপির মতো সাড়াশব্দ দিয়ে নয়, নীরবে মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমরা আবার বিএনপির মতো মিডিয়া-টিডিয়া নিয়ে যাই না। তারা ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিল, সেখানে বোধ হয় মিডিয়ার বুম ছিল না। পরে তারা সবাইকে ডেকে নিয়ে যা কথা হয়েছে, সেটাও বলেছে; যে কথা হয়নি, সেটাও বলেছে৷ অবস্থাটা এমন দেখলাম যে মনে হয় যেন ভারত জয় করে এসেছে। আমরা সেটা না। আমরা নীরবে গিয়ে নিঃশব্দে চলে এসেছি।’
বিএনপির বিরুদ্ধে কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখ কচলাতে কচলাতে তারা (বিএনপি) বারিধারা-গুলশানে যায়, ব্রেকফাস্টে বসে কত গল্প করে! তারা নাকি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে উৎখাত করবে! ১০ ডিসেম্বর নাকি খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, তারেক নাকি দেশে ফিরবে! শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনও পেল না, পেল গোলাপবাগের গরুর হাট।’
বিএনপির অবস্থা এখন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা কাদায় আটকা পড়া গরুর গাড়ির মতো বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন চোরাবালিতে আটকে গেছে। সামনেও যায় না, পেছনেও যায় না; ডানেও যায় না, বাঁয়েও যায় না।