পদাধিকার বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তার মন্ত্রীর পদে থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩মে) হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে রিটকারী মুক্তিযুদ্ধার নাম তালিকায় রাখার পাশাপাশি তাকে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম।
রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মামলা পরিচালন করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। তাকে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট অনিক হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সেলিম আজাদ।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৫(১)(ক) ও ৫(১)(খ) ধারা অনুসারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব পদাধিকার বলে যথাক্রমে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রণালয়ে যদি প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকেন, তারা পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, যেহেতু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও সচিব একই সঙ্গে জামুকার সর্বোচ্চ পদে আসীন। এর ফলে তারা জামুকার নির্বাহী প্রধান হিসেবে যে সুপারিশ করেন, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব হিসেবে সেটাই ‘মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত’ হিসেবে প্রকাশ করেন।
২০০৫ সালে নওয়াব আলী মণ্ডলকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়া হয় এবং ওই বছরই তার নাম গেজেটভুক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত সম্মানী ভাতাও পেয়ে আসছিলেন। তবে গত বছরের ১৮ অক্টোবর জামুকার ৮১তম সভায় তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশ অনুসারে মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন, ভাতা বন্ধ, জামুকার চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে মন্ত্রী ও সচিবের নিয়োগসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন নওয়াব আলী।