fbpx

মুদ্রাস্ফীতি-মাথা পিছু আয়ের হিসাবে সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমে গেছে: ওয়েবিনারে বক্তারা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মুদ্রাস্ফীতি ও মাথা পিছু আয়ের হিসাবে সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রবিবার (১২ জুন) বিকেলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের অন্তরায় বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপরন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিও হতাশাব্যঞ্জক। মুদ্রাস্ফীতি ও মাথা পিছু আয়ের হিসেব তুলনা করলে সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমে গেছে বলেও মনে করছেন তারা।

ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে সেটি মুদ্রাস্ফীতি ও মাথা পিছু আয়ের হিসেবে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমে গেছে। এটি আমাদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক। এতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক গ্রহণের মাত্রা কমবে না।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা যদি তামাক কর নিয়ে জোরালো ভূমিকা না রাখেন, তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাইলেও তামাক কর বৃদ্ধি কমিয়ে রাখতে পারবে না। এজন্য আগামীতে তামাক কর বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণে আমাদেরকে আরও কৌশলী হতে হবে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস-বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর এনবিআরকে অতিরিক্ত যে ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে, সেটি তারা তামাক কর বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্জন করতে পারতো। কিন্তু এনবিআর সে সুযোগ গ্রহণ করেনি। এজন্য আগামীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগী করতে হবে।

ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বর্তমানে সব কিছুরই দাম বেড়েছে। কেবল দাম বাড়েনি তামাকজাত দ্রব্যের। বাজেটে সিগারেটের নামমাত্র যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়, তাতে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমে না। এ কারণে সিগারেটের মূল্য বাড়লে তাতে দেখা যায় কোম্পানীগুলোও লাভবান হয়।

দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের দেশের মানুষ নিম্নস্তরের সিগারেট বেশি গ্রহণ করে। অথচ বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য সেভাবে বাড়েনি। এতে করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে। সস্তা সিগারেটের ব্যবহারও বাড়বে। এছাড়া নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে জর্দা, গুলকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply