fbpx

মেহেরপুরে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শীতের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন গাছিরা। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছিরা এই মৌসুমে মেহেরপুরে আসে খেজুর বাগান লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে পাটালি তৈরি করে বিক্রি করে থাকে।

তবে বছর এখনো মেহেরপুরে আসেনি উত্তারাঞ্চলীয় গাছিরা। স্থানীয় গাছিরাই গাছ প্রস্তুত বা রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শীতের কাক ডাকা ভোরে গেজুরের রস সংগ্রহে নেমে পড়েন গাছিরা। সেই রস সংগ্রহের পর তা আগুনে জাল দিয়ে বানানো হয় গুড়। সেই গুড় থেকে তৈরি হয় পাটালি। মেহেরপুর জেলায় এমন গাছির সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক।

শুধু গুড় নয় অনেকেই গাছ থেকে রস নামানোর পর তা বিক্রি করে দেয়। গ্রামে রস আর রসের তৈরি পিঠা উৎসব চলবে পুরো শীত জুড়ে।খেজুরের রস দিয়ে নানান রকম পিঠা তৈরি করা হয়। ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাঠিসাপটা, রস পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায় খেজুর গাছের রস আর গুড় দিয়ে।

শীতে ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসবে রস ও রস থেকে তৈরি গুড়, পাটালি দিয়ে তৈরি হবে সুস্বাদু খাবার। ইদানিং ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছে পোড়ানোর কারণে গাছ কমে যাচ্ছে। মেহেরপুর জেলায় এখনও আমদহ, গোভিপুর, পিরোজপুর গ্রামে খেজুর বাগান চোখে পড়ে। তাছাড়া জমির আইল, পুকুর পাড় আর রাস্তার ধারে রয়েছে খেজুর গাছ। এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুর গাছ ৫-৬ বছরের হলেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করা যায়।

গাছিদের মতে  প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০টি গাছের রস থেকে তৈরি হয় ৪০ কেজি গুড়। শীত বেশি পড়লে রস উৎপাদন হয় দ্বিগুণ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের মতে, কৃষি বিভাগ খেজুর গুড়ের এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে কৃষককে জমি বা জমির আইলের পাশে খেজুর গাছ লাগানোর ব্যাপারে সাধারণ মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply