গতকাল (বুধবার) নিজের বাসায় আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ও সুরকার সাদি মহম্মদ। তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই শিবলী মহম্মদ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
শিবলী মহম্মদ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে জানাজা শেষে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে সাদি মহম্মদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়।
শিবলী মহম্মদ জানান, সন্ধ্যায় তাঁর ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায় তাঁর মরদেহ গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
জানা গিয়েছে, গেলো জুলাইয়ে তার মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন এই বরেণ্য শিল্পী। কিছুটা অস্বাভাবিক আচরনও করতেন মাঝে মাঝে।
সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসংগীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তাঁর ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ২০১২ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে।
১৯৭১ সালে সাদি মহম্মদের বাবা সলিমউল্লাহকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে। তাঁর বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মহম্মদ প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী।