fbpx

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর মারা গেল সোনিয়ারও

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার চলে গেলো শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২)। এ নিয়ে এ ঘটনায় ওই পরিবারের ৬ জনেরই মৃত্যু হলো।

বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার। বুধবার সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনভর নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল সোনিয়া। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। হার্টেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টায় স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টিতে সোনিয়াদের টিনের বসতঘরের ওপর ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাক্‌প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরি বেগম (৪৫), বড় বোন সামিয়া সুলতানা (১৪), সাবিনা আক্তার (১১) ও ছোট ভাই সায়েম আহমদ (৭) মারা যায়।

একমাত্র আহত হয় এ পরিবারের ছয় বছরের শিশু সোনিয়া। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আজ ভোরে তার মুত্যু হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply