গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির দূতাবাসের সামনে নিজ শরীরে আগুন দিয়েছে এক মার্কিন সেনা। স্থানীয় সময় রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে শরীরে আগুন দেন ওই সেনা। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গায়ে আগুন দেওয়া ওই ব্যক্তি মার্কিন বিমানবাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য।
মার্কিন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ওই ব্যক্তি মার্কিন বিমানবাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই লোকের গায়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরালও ওই ভিডিওর বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গায়ে আগুন দেওয়ার আগে ওই সেনা চিৎকার করে বলছেন, ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না, থাকতে চাই না।’ পরে তিনি নিজের গায়ে তরল জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানায়নি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে যে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ওই ব্যক্তি গায়ে আগুন দিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি কূটনৈতিক মিশনের সামনে এ ধরনের আত্মহত্যার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। এর আগে, গত ডিসেম্বরে আরও এক ব্যক্তি গায়ে পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তখন অবশ্য তার কাছে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা পাওয়া গিয়েছিল। তবে এবার যিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, তার আশপাশে সে ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি। ওয়াশিংটন পুলিশ জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।