fbpx

রাগে ক্ষোভে মোটরসাইকেল পোড়ালেন পাঠাও চালক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ট্রাফিক পুলিশের ওপর বিরক্ত হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে নিজেই আগুন ধরিয়ে দিলেন এক মোটরবাইক চালক।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশের ড্রেনঘেঁষে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই মোটরসাইকেল চালক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। রাস্তায় এদিক-ওদিকে চিৎকার করে কিছু একটা বলছেন। একসময় হাতে থাকা হেলমেটটি জ্বলতে থাকা মোটরসাইকেলের ওপর ছুঁড়ে মারেন। এ সময় আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তিনি বাধা দেন। আগুন নেভাতে মগে করে পানি নিয়ে আসেন এক যুবক। তবে তাকে বাধা দেন পাঠাও চালক।

জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন শওকত আলী নামের একজন বাইক চালক। এ সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে তার কাগজপত্র নিয়ে যান। তিনি পুলিশের কাছে বারবার মামলা না দেওয়ার অনুরোধ করে গাড়ির  কাগজপত্র ফেরত চান। কিন্ত শেষমেষ কাগজপত্র ফেরত না পেয়ে হতাশ হয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

তবে পুলিশ দাবি করছে, কাগজপত্র নিলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অফিস আওয়ারে গুলশানের লিংক রোডে যানজট হয়। মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার পাশে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তাই দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেলচালকদের কাগজপত্র নেন। কয়েকজনকে মামলা দেওয়া হলেও শওকত আলীর মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শওকত আলীকে থানায় এনে ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। তিনি আমাকে জানিয়েছে, আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে তাঁর গাড়ির বিরুদ্ধে। আজ যখন পুলিশ তাঁর কাগজপত্র নিয়েছে, তখন তিনি হতাশা ও আবেগ থেকে গাড়িতে আগুন দিয়েছেন।’

জানা গেছে, শওকত আলীর ছোট ব্যবসা ছিল। করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। দু’ তিনমাস ধরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি।

শওকত আলী থানা হেফাজতে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply