সিন্ডিকেটের খেলায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নায়িকা ফারদিন দীঘি। তাকে চূড়ান্ত করেও অন্যজনকে নিয়েছেন পরিচালক রায়হান রাফি। দীঘি এই খবর জেনেছেন ফেসবুকে, বাদ দেওয়ার বিষয়টি তাকে জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি নির্মাতা রাফি। হুট করেই এমন অভিযোগ করেন দীঘি। বিষয়টি নিয়ে রায়হান রাফি বিবিএসবাংলাকে বলেন, আলোচনায় আসার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন উনি।
তবে দীঘির অভিযোগ, মৌখিকভাবে ‘চূড়ান্ত’ করেও তাঁকে না জানিয়ে সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছেন পরিচালক। যদিও কোথাও রাফির নাম বলেননি এই নায়িকা। তবে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে নাম এসেছে পরিচালক রায়হান রাফির।
রাফির মন্তব্য প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ‘দেখলাম বিবিএস বাংলায় উনি বলেছেন আমি আলোচনায় আসতে এমনটা করেছি। আমি কি আলোচনায় আসব…, আমি তো জন্ম থেকে স্টারকিড, উনি আলোচনায় আসার কথা বলেন.. নায়িকা হওয়ার আগে আমার ঘরে ৩ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আর উনার নাম নিয়ে কে কবে আলোচনায় এসেছে…।’
এই আলাপ দীঘি দীর্ঘ করেছেন এভাবে, ‘প্রথমত আমি স্ট্যাটাসের বাইরে কোন পরিচালকের নাম বলিনি। গণমাধ্যম তাঁদের সূত্র দিয়ে এক পরিচালকের নাম বের করেছে। তিনি এখন আমার নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ওই পরিচালক যে শুধু একটি সিনেমা নিয়ে আমার সঙ্গে এমনটা করেছেন তা নয়, উনি উনার একাধিক প্রজেক্ট নিয়ে আমার সঙ্গে এমন করেছেন। মিটিং করেছেন, ডেট ফাঁকা রাখতে বলেছেন, আমি রেখেছি তারপর সেই সময় কল দিলে তিনি আমার ফোন ধরেন না। মৌখিকভাবে চূড়ান্ত করেছেন তারপর আমাকে সেটি না জানিয়ে বাদ দিয়েছেন। এসবের সব প্রমাণ আমার কাছে আছে। একটা প্রজেক্টে বাদ দিয়েছেন সেজন্য আমি কথা বলছি এমন নয়। একই কাজ উনি হয়তো অনেকের সঙ্গে করেছেন। উনি কেন নায়িকা নির্বাচনে প্রতিবার এমন করেন সেটা রহস্যজনক। আমার সাহস আছে বলে আমি কথা বলেছি।’
“এই নির্মাতা আপনাকে টিকটক বন্ধ করে অভিনয়ে মনোযোগী হতে বলেছেন”… এমন প্রশ্নে দীঘি বলেন, ‘উনি যদি টিকটক করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আমি বলব উনি নিজেও তো টিকটক করেন উনার নায়িকাদের সঙ্গে।’
তিনি আরও বলেন, প্রমাণ দিতে পারব উনি নিজে আমার সঙ্গে বসতে চেয়েছেন, উনার অফিসে ডেকেছেন।