fbpx

রেলওয়ের ট্রেন ও স্টেশনও তামাক নিষিদ্ধ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, ‘পাবলিক প্লেসে’ তামাক ব্যবহার দণ্ডনীয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন ও স্টেশনও পাবলিক প্লেসের মধ্যে পড়ে। এসব জায়গায় কেউ ধূমপানসহ যেকোনো ধরনের তামাক দ্রব্য পান ও সেবন করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল দুপুরে রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ‘ইনিশিয়েটিভ টু মেক বাংলাদেশ রেলওয়ে টোব্যাকো ফ্রি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, তামাকমুক্ত করতে হলে আগে তামাক যেখান থেকে আসে তার সোর্স বন্ধ করতে হবে। তাহলে তামাকের ব্যবহার কমানো যাবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার আগে মাদক আসা বন্ধ করতে হবে। না হলে মাদক-তামাক কোনো কিছুই বন্ধ হবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করতে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার ডলারের এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়ন। দুই বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় শিশু-নারী অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারীসহ অধূমপায়ী যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপান হতে সুরক্ষা প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে পানের পিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলস্টেশনের অভ্যন্তরে পান, জর্দা/সাদাপাতা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। একসঙ্গে ধূমপানমুক্ত রেলওয়ে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া কর্মচারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, টেকসই পদ্ধতি এবং রেলস্টেশনে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন শক্তিশালী করা হবে। ট্রেন ও স্টেশনে নো স্মোকিং সাইনেজ প্রদর্শন, ডিজিটাল মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলমসহ অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply