করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে ১লা জুলাই থেকে ৭ই জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর সেই লকডাউনের সময়ে বন্ধ থাকবে দেশের সব আদালত।
বুধবার সকালে সাতদিনের কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ সম্বলিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেদিন বিকেলেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক মুখ্য বিচারিক হাকিম বা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একজন এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী জেলা বা মহানগরে মুখ্য বিচারিক হাকিম বা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এক বা একাধিক হাকিম স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।‘
হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ সম্পর্কে বলা হয়, ‘পাশাপাশি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ আদালতের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কাজও সীমিত পরিসরে চলবে। রিট ও দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত একটি করে মোট তিনটি বেঞ্চ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে অতীব জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন।‘
অধস্তন আদালত সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে উক্ত সময়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করা যাবে।‘
অধস্তন আদালতে বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল না ছাড়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। একইসাথে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী ও বিচারপতিদের না আসারও অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।