fbpx

শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতিকে কেউ সেবা দিতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমাদের পিছনে তো লোক লেগেই আছে, ছাত্রদল যত অপকর্ম করে গেছে তা নিয়ে কথা হয়না। কিন্তু ছাত্রলীগে কিছু হলেই বড় করে নিউজ হয়। তাই এ ক্ষেত্রে নিজেদের ঠিক থাকতে হবে। গ্রুপ বাড়ানোর জন্য ছাত্রলীগে যেন কোনো আলতু-ফালতু কেউ না আসতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে ছাত্রলীগকে উদেশ্য করে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন ‘আমি জানি ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক কথা লেখা হয়। এত বড় একটা সংগঠন, আমরা ক্ষমতায় আছি বলে অনেকেই এর ভেতরে ঢুকে যায়। ঢুকে নিজেরাই গোলমাল করে, বদনামটা ছাত্রলীগের ওপর পড়ে। ছাত্রলীগেও সংগঠন করার সময় গ্রুপ বাড়ানোর জন্য এই রকম আলতুফালতু লোক দলে ঢুকাবে না। এতে নিজের বদনাম, দলের বদনাম, দেশের বদনাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এর পরে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, বোমাবাজি। আমরা সেখান থেকে ঘুরিয়ে আনতে পেরেছি। শিক্ষার বিভিন্ন পরিবর্তন এনে আধুনিকায়ন করেছি। প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতি উপজেলায় স্কুল সরকারি করে দিচ্ছি। শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি, উচ্চশিক্ষার জন্য আলাদা ট্রাস্ট ফান্ড করেছি। আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন বলল, ছাত্রদল দিয়েই নাকি আওয়ামী লীগকে সোজা করে দিবে। তাদের হাতে যে অস্ত্র, এটা তো জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। আমি ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিলাম, আগে লেখাপড়া শিখতে হবে। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতিকে কেউ সেবা দিতে পারে না।’

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যের শুরুতে ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো সংগ্রাম আন্দোলনে অগ্রগামী দল হিসেবে ছাত্রলীগই সব সময় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সেদিন আমি শুধু স্বজন হারিয়েছি তা নয়, বাংলার মানুষ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সকল সম্ভাবনাকে, তাদের বেঁচে থাকার সকল উপকরণ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-চেতনা, ৭১ সালের বিজয়ের গর্ব।’

এসময় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসারের কোনো ব্যাপারে আমার মা আমার বাবাকে বিরক্ত করেননি। তিনি বাবাকে বলতেন, তুমি দেশের জন্য কাজ করো, জনগণের জন্য কাজ করো, আমি সংসার দেখি। কিন্তু মা শুধু সংসার দেখতেন না, সংগঠনের দিকেও নজর দিতেন। আব্বা যখন জেলে, তখন সংগঠনের নেতারা কে কোথায় আছে; নেতারা যখন জেলে, তখন তাদের পরিবার কী অবস্থায় আছে সেদিকে নজর রাখতেন। আমাদের অনেক বড় বড় নেতা, এমনকি ১৫ আগস্টে যিনি সবচেয়ে বড় বেইমানি করলেন, তার স্ত্রীর হাতে আমার মা মাসিক বাজারের টাকাটা তুলে দিয়ে আসতেন। বাড়ি থেকে চাল-ডাল যা আসত, তার ভাগ দিতেন।’

‘৩২ নম্বরে দলের মিটিং হবে বললে, মা সমস্ত কিছুর আয়োজন করতেন। নিজের হাতে রান্না করতেন’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিশেষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে চাষবাস করে উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ বিশ্বে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে, পয়সা দিয়েও খাবার কেনা যাবে না।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply