করোনা মহামারির জন্য তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট-ডিএএস। বাংলাদেশে শিল্পকর্ম ও চিত্রকলার প্রদর্শনী নিয়ে অন্যতম এই আয়োজন শুরু হচ্ছে ৩ ফেব্রুয়ারি। ষষ্ঠবারের এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের ১৬০ জনের বেশি শিল্পী।
এবারের মূল ভাবনা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। ৯ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত শিল্পসমালোচক ও শিল্পসংগ্রাহকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্কশপ, পারফরম্যান্স সেমিনারসহ বৈচিত্র্যময় প্রদর্শনী। এবারই প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলা প্রতিপাদ্য ‘বন্যা’। ঢাকা আর্ট সামিট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলায় সংবাদ সম্মেলনে আর্ট সামিটের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সামদানী ও ট্রাস্টি রাজীব সামদানী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ সাকের শামীম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা আর্ট সামিটের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে। প্রদর্শনী ঘিরে এরই মধ্যে সাজানো হয়েছে পুরো আঙিনা।
সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি রাজীব সামদানী জানান, প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো একই রকমভাবে রাখা থাকবে পুরো আয়োজনের সময়। এর মধ্যে কয়েকটি শিল্পকর্ম বাংলাদেশের পর আবার ভারতের দিল্লিতেও প্রদর্শনীতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আর্ট সামিটের ষষ্ঠ আসর। ঢাকা আর্ট সামিটের আয়োজক সামদানী গ্রুপের সঙ্গে আছে এবার সহযোগী হিসেবে আছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ব্রিটিশ কাউন্সিলসহ ৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠান।
