নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো কিংবা ফানুস ওড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রো পলিটন (ডিএমপি)। পাশাপাশি শনিবার সন্ধ্যায়ই ঢাকার সব বার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিধি-নিষেধের কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, নিষেধ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘নতুন বছরকে কেন্দ্র করে অনেকেই ফানুস ওড়ান। আমরা এটা ওড়াতে নিষেধ করছি, কারণ এটার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এটা কেউ ওড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ডিজে পার্টি আয়োজন করা যাবে না তবে ইনডোরে করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে। রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করার অনুরোধও করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিল এলাকায় হৈ হুল্লোড়, সীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানো, মোটর সাইকেলে রেস করা যাবে না। এর ব্যতয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এসব এলাকায় বসবাসরতদের নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।
