fbpx

সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় জামিনে বেরিয়ে বন্ধুকে খুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় ১৩ মামলার এক আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে তার বন্ধুকে হত্যা করেছে। গত ১ জুন নাটোরে ঘটে এ হত্যাকান্ড।

আজ (১৪ জুন) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন বিস্তারিত জানান বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

তিনি জানান, গত ১ জুন নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মের ওভার ব্রিজের ওপরে ১৩ মামলার আসামি রাসেল তার বন্ধু রাকিব হোসেনকে (২৫) ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, জেল হাজতে থাকা বন্ধুর সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় জামিনে মুক্ত হয়ে সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্তে নামে সিআইডি।

তদন্তে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে রাসেল হোসেন-এর সংশ্লিষ্টতা পায় সিআইডির তদন্ত দল। পরে আসামি রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেলকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুক্তা ধর বলেন, সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানায় প্রায় ৭ বছর আগে চক বৌদ্ধনাথপুর এলাকার লাবণ্য সিদ্দিকা সাথীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। নিজেদের পছন্দেই বিয়ে করেন তারা। তাদের সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ মার্চ দস্যুতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন রাসেল। এসময় সাথী তার স্বামী রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে রাকিবকে বিয়ে করেন।

রাসেল এ সংবাদ পেয়ে রাকিবের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষতে থাকে। গত ৩১ মে তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরদিন (১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে রাসেল কৌশলে রাকিবকে নাটোর রেলওয়ে প্লাটফর্মের ৩ নম্বর ওভার ব্রিজের ওপর ডেকে নিয়ে আসেন। রসেলকে দেখে রাকিব পালানোর চেষ্টা করে। তবে রাসেল তার সঙ্গীদের সহযোগীতায় রাকিবকে ধরে ফেলে এবং তার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ হত্যার ঘটনায় রাকিবের বড় ভাই মো. শাকিল হোসেন রাসেলকে প্রধান আসামি করে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন।

এই হত্যা মামলা সহ রাসেলের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, চুরি, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য ধারার আইনে মোট ১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানায় সিআইডি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply