fbpx

সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও সরকার পতনের দাবিতে বিরোধী জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। রোবারর (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক এই হরতাল কর্মসূচি চলবে।

 

বিএনপির এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।

 

হরতালের আগের রাতেই রাজধানীর আগারগাঁও, গুলিস্তান, ধানমণ্ডি ও কালশিতে চারটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই বাসে আগুন দেয়া শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর থেকে যাত্রী নিয়ে ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিল বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎই আগুন লাগে বাসটিতে। যাত্রীরা দ্রুত বাইরে বের হয়ে যায়। বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

 

রাতে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জ থেকে গাবতলী যাওয়ার পথে ধানমন্ডি এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাস থেকে যাত্রীরা নিরাপদে নেমে গেলেও পুড়ে হয় বাসটি। পুলিশ জানায়, যাত্রীবেশে বাসে উঠে পেছনের সিটে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় হরতালকারীরা।

 

রাত ৮টার পর গুলিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। কাছাকাছি সময় কালশি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা বসুমতি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। এসব ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

 

কালশি রোডেও দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হতাহত হয়নি কেউ। এ ছাড়াও সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে যানবাহনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও ট্রেনে আগুন, আবার কোথাও বাসে।

 

তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি।

 

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply