সিত্রাং নামের ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এরই মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের নেট দুনিয়ায় তোলপাড়। কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বড় রকমের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের আন্দামান এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেবে বলে আমরা ধারণা করছি। লঘুচাপ সৃষ্টি হবার পর বোঝা যাবে আসলেই এটি কতটা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে সময় লাগে দুই থেকে তিন দিন।’
লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে? এই প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ জানান, ‘এটি যদি উত্তর-পূর্ব দিকে ধাবিত হয় তাহলে সময় কম লাগবে, সেক্ষেত্রে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে ২৪ বা ২৫ অক্টোবর। আর যদি বাঁক নিয়ে আরও উত্তরে ধাবিত হয়, তাহলে আরও দু’দিন বেশি সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে ২৫ বা ২৬ অক্টোবর। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় কোনদিকে মোড় নিবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। সময় হলেই আমরা জানিয়ে দেবো।’
‘অক্টোবর, নভেম্বর মাসে সাগরে যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এই লঘুচাপটিও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে আমরা পূর্বাভাসে দেখতে পাচ্ছি। তবে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবে কিনা, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিলে বৃষ্টিপাত শুরু হবে, তখন আবহাওয়া অনেকটাই শীতল হয়ে যাবে’, জানিয়েছেন আবহওয়াবিদ ওমর ফারুক।
খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম, বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকা রোদ্রজ্জ্বল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এই গরম পরিস্থিতি চলবে আরও কয়েকদিন, তাই দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।