ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী সনু নিগম ও তার সঙ্গীরা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের চেম্বুর এলাকায় একটি অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
এই ঘটনায় সনুর বন্ধু রব্বানি খান আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় চেম্বুরের অনুষ্ঠানে গান গাইছিলেন সনু। ওই সময় স্থানীয় শিবসেনা বিধায়কের ছেলে গায়কের ম্যানেজার সায়রার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে বিধায়কের ছেলে সায়রাকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। তখন মঞ্চ থেকে নামছিলেন সনুও। ওই সময় সনুকে ধাক্কা মারেন বিধায়কের ছেলে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস্ অব ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত খবরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সনুকে ধাক্কা দেওয়ার সময় বিধায়কের ছেলে এবং সনুর মাঝখানে চলে আসেন গায়কের দেহরক্ষী। তাকে ধাক্কা মেরে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেন অভিযুক্ত। এর পর সনুকে ধরতে গেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন গায়কের বন্ধু রব্বানি খান। রব্বানিকে এর পর ধাক্কা মারেন অভিযুক্ত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রায় সাত ফুট নীচে পড়ে যান তিনি। এই ঘটনায় গায়কের কোনও চোট লাগেনি কিন্তু তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুজন আহত হয়েছেন। রব্বানি খান সোনু নিগমের গুরু ওস্তাদ গুলাম মোস্তাফা খানের ছেলে।
সনু আহত দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। তাদের আঘাত গুরুতর কি-না, তা জানতে এক্স-রে করা হয়েছে।
সোমবার রাতেই সনু নিগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারা (স্বেচ্ছায় আঘাত করার জন্য শাস্তি), ৩৪১ ধারা (অন্যায়ভাবে গতিরোধ করা), এবং ৩৩৭ (ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করে এমন কাজ করা)— এই তিনটির ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চেম্বুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন শিল্পী। নিজের বিবৃতিতে বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সনু।
সনু বলেন, ‘শো শেষ হওয়ার পর, যখন আমার সহকর্মী হরিপ্রকাশ, রব্বানী খান, সায়রা মাকানি-সহ আমরা সবাই স্টেজ থেকে নামছি, এমন সময় হঠাৎ পেছন থেকে একটি ছেলে এসে আমাকে ধরে ফেলে। তার পর হরিপ্রকাশ সেই ছেলেটিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে, সেই ছেলেটি হরিপ্রকাশজিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ছেলেটি আমাকেও ধাক্কা দেয়। আমিও সিঁড়িতে পড়ে যাই। আমার চুল ধরে টানেন। আমার ম্যানেজার মরেই যেত।’
