fbpx

স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে কোনো চুক্তিতে যাবে না হামাস

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিলো, গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। এছাড়া হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও এ আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় পুরোপুরি ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করেছে হামাস। অপরদিকে ইসরায়েল এই বক্তব্যে রাজি না হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা।

গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) যুদ্ধবিরতির সংলাপে যোগ দিতে মিসর পৌঁছেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর এবারই প্রথম মিসর সফরে গিয়েছেন হামাসের এই প্রধান। মূলত গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের সংলাপে যোগ দিতেই কায়রোতে পা রেখেছেন হানিয়াহ। বলা হচ্ছে দ্বিতীয় দফার যুদ্ববিরতিতে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে মিসর।

এক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়ে জোর আলোচনা হয়েছে। মূলত জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের ওপর ভিত্তি করেই যুদ্ধবিরতির দর কষাকষি চলছে বলে জানা গেছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির এই আলোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আশা করি যে দ্রুতই এর সমাধান হবে।

তবে হামাস নেতা হানিয়ার মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের আগ পর্যন্ত তাদের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হামাস কথা বলতে আগ্রহী নয়। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত হলেই কেবল তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা যেতে পারে বলে মনে করেন নোনো।

সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করলেই হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় যাবে বলেও জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের ওই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। কায়রোতে এ বিষয়গুলোকেই আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে হামাস নেতারা। নোনো বলেন, স্থায়ী সমাধানই আমাদের সংলাপের মূল বিষয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply