fbpx

স্মৃতিকাতর চঞ্চল চৌধুরী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বর্তমানে বাংলাদেশের গুণী অভিনেতাদের যদি তালিকা করা হয় প্রথম কয়েকজনের ভেতরই থাকবেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের ভেতর মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এই অভিনেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। পরিবার, নিজের কাজসহ দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই নিজের মতামত, ছবি পোস্ট করে থাকেন।

স্মৃতিকাতর চঞ্চল চৌধুরী

ছবিতে মাঝখানের জন চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক

হঠাৎ করেই এই অভিনেতা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন। ১২ নভেম্বর নিজের ফেসবুক ওয়ালে চঞ্চল একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন একান্তই কিছু উপলব্ধির কথা।

চঞ্চল লিখেছেন, ‘একটা অদ্ভুত ব্যাপার, কিছুদিন ধরে ছোটবেলার অনেক কিছু মনে পড়ে নষ্টালজিক হয়ে যাই।মাঝে মাঝেই এরকম হচ্ছে।যেহেতু দোদূল্যমান বর্তমান আর অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে বেশী বিব্রত থাকি, তাই অতীতটাই শ্রেয় মনে হয়। অমানবিক বর্তমানে থেকেও তাই বার বার চিন্তার অতীতে ফিরতে ভালো লাগে।‘

এই লেখার পর তিনি পোস্ট করা ছবিটির উল্লেখ করে লেখেন, ‘ছবিটা আমার স্কুল জীবনের। আমি তখন সম্ভবত নবম বা দশম শ্রেণীতে পড়ি। ছবিতে আমার ডান পাশের জন সত্য কা, বাম পাশের জন সুভাষ কা। এরা দুই জনই আমার প্রতিবেশী কাকা। আর চিনতে কষ্ট হলেও মাঝখানের পাতলা যুবকটিই আমি। নিকটতম প্রতিবেশী আরেক কাকার নামও ছিল সত্য।যেহেতু পাশাপাশি দুই বাড়িতে দুইজন সত্য, তাই প্রতিবেশীরা গায়ের রঙ বিবেচনা করে একজনকে ডাকতো ধলা সত্য, আরেকজনকে কালা সত্য বলে। ছবিতে যে সত্যকে দেখা যাচ্ছে, উনি আমার কালা সত্য কা। ‘কালা সত্য’কার জন্য কনে দেখতে গিয়েছিলাম রাজবাড়ীতে। বিয়ের বরযাত্রী হওয়া,কনে দেখতে যাওয়া।এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রতি প্রবল আকর্ষনের প্রধান দুটি কারন ছিল। প্রথমত, এই উছিলায় পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়া যেত, দ্বিতীয়ত, অতিথি হিসেবে ভালো ভালো খাবার খেতে পারতাম,সাথে যত্ন আত্তি। আজ ফেসবুকে এই ছবিটা পাওয়ার পর থেকে, কিছু মূহুর্ত চোখের সামনে জীবন্ত ভেসে উঠছে। সত্য কা অনেক আগেই দেশ ছেড়েছে। আর সুভাষ কা বেশ কয়েক বছর আগেই দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply