গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা হিসেব করা হয়েছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার । ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল।
এসময় মন্ত্রী আরও জানান, ফিটনেসবিহীন গাড়ির মালিকদের এসএমএসের মাধ্যমে ফিটনেস করার তাগাদা, সার্কেল অফিস থেকে নবায়নের ব্যবস্থার পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড, ডাম্পিংসহ নানামুখী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গতি, পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য বহন করা, ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও লেন না মানার প্রবণতা, মহাসড়কে ধীরগতিসহ বিভিন্ন গতি সম্পন্ন ও অননুমোদিত যান চলাচল, অননুমোদিত ওভারট্রেকিং করা ও গাড়ি চালনা অবস্থায় মোবাইলফোনে কথা বলা যাবেনা এগুলো মানতে হবে ।
এছড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এই সকল পদক্ষেপের কথাও বলেন মন্ত্রী, সড়ক নিরাপত্তা বিধানে সরকার জনস্বার্থে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, অটো, টেম্পো এবং সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। মহাসড়কে চলন্ত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যথাক্রমে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের নির্ধারিত নির্ধারিত গতিবেগ সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ও ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। মোটরযানের গতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গাড়ির স্পিড গর্ভনর সিল নিশ্চিত হয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দক্ষ গাড়িচালক তৈরির লক্ষ্যে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আগে দুইদিন মেয়াদে রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৬১০৮ ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় তিন হাজার ৯৪৩ দশমিক ৬৯ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, চার হাজার ৮৮২ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১৩ হাজার ৫৫৬ দশমিক ২০ কিমি।
জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেনের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
মন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক মহামারির কারণে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে কাজের অগ্রগতি কিছুটা ব্যাহত হলেও থেমে থাকেনি। অন্য সময় রাতদিন কাজ হলেও কোভিডের কারণে রাতে কাজ বন্ধ ছিল। এ সময় কিছু বিদেশি প্রকৌশলী ও পরামর্শক এবং দেশীয় এক হাজার শ্রমিক চলে যাওয়ায় কাজের গতি কমে যায়।