টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিলো তা প্রমাণের দায়িত্ব এখন বোলারদের হাতে। ৫০ ওভার পুরো ব্যাটিংই করতে পারলো না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাই বোলারদের হয়ে উঠতে হবে রুদ্রমূর্তি।
ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারলো না সাকিবের দল। মাত্র ৪২.৪ বলে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গেলো টাইগাররা। ইনজুরিতে মূল বোলাররা না থাকলেও নিজেদের প্রমাণ করতে এক বিন্দু ছাড় দেয়নি লঙ্কানরা। নিজেদের জয়ের জন্য মাত্র ১৬৫ রানের লক্ষ্য স্থির করে ফেললেন তারা।
তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে তানজিদ হাসান তামিম ও নাঈম শেখের ব্যাটেই দায়িত্ব পড়ে ব্যাটিং শুরুর। তাদের একজনের আজ অভিষেক ও আরেকজনের অভিজ্ঞতা কেবল ৪ ম্যাচ।
আর অনভিজ্ঞ এই ওপেনার নিয়ে কতদূর যেতে পারবে বাংলাদেশ সে প্রশ্ন শুরু থেকেই ছিলো। স্বাভাবিকভাবেই বেশি দূর এগোতে পারল না বাংলাদেশ। তানজিদের (০) পর নাঈমও (১৬) ফিরলেন দ্রুত। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগাররা।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে (১০ ওভার) ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তুলেছে সাকিব আল হাসানের দল।
বাংলাদেশের ইতিহাসে চতুর্থ ওপেনার ও ১৬তম ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই ডাক মারলেন তানজিদ। এর আগে সবশেষ ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে অভিষেকেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন রফিকুল ইসলাম।
শুরুর ধাক্কা সামলাতে এলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব স্থায়ী হন কেবল ১৩ বল ও ৫ রানের জন্য।
মাথিশা পাথিরানার শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
চাপ সামাল দেওয়ার বার্তা ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। জুটিও মজবুত করে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু পথ হারালেন তাওহীদ হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি ছোঁয়ার পরপর সাজঘরে ফিরে যান তিনি (২০)।
মেহেদি হাসান মিরাজও মাঠে টিকলেন মাত্র ১১ বল। করেন ৫ রান।তার আগে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ২২ বল ১৩ করে থার্ডম্যানের হাতে উইকেট দিয়ে ফেরেন।
লঙ্কান বোলারদের দাপটে শেষের দিকে কেউ মাঠে টিকতেই পারেননি। মাহেদি হাসান ৬রান, তাসকিন আহমেদ ০ রান ও মুস্তাফিজুর রহমান ০ রানে আউট হয়ে ফেরেন। সরিফুল ইসলাম ২ রানে অপরাজিত থেকে যান।
মাথিসা পাথিরানা একাই লণ্ডভণ্ড করে দিলেন বাংলাদেশ শিবির। তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া মহেষ থিকসানা দুই উইকেট, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ উইলালগে ও দাসুন শানাকা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।