fbpx

হারারেতে বাংলাদেশের বড় জয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২০ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হারারেতে একমাত্র টেষ্টে ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৬ রান গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১৫০, তাসকিন আহমেদ, অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং লিটন দাশের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৬৮। জবাবে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে ২৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ ৮২ রানে নেন ৫ উইকেট, সমান রান খরচায় ৪ উইকেট সাকিবের।

প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম উইকেট পড়ে ৮৮ রানে। জিম্বাবুয়ের সাফল্য বলতে ঐ একটাই। পরের গল্পটা শুধুই বাংলাদেশের । ৪৩ রান করা সাইফ হাসান ফিরে গেলেও অবিচল ছিলেন সাদমান ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেন তিনি। নিজের প্রথম শতক তুলে নেন সাদমান, অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ১১৮ বলে অপরাজিত থাকেন ১১৭ রান করে। এক উইকেটে ২৮৪ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

বড় লক্ষ্যের সামনে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৫ রানে মিল্টন শুম্বাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ক্রিজে এসে বাংলাদেশের বোলারদের উপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন জিম্বাবিয়ান ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেইলর। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মাত্র ৭৩ বলে করেছেন ৯২ রান। এরপর প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের টপ স্কোরার তাকুয়ানশে কাইতানোকে ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করেছেন ১০২ বলে ৭ রান। বাকিটা সময় নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন দিওন মায়ার্স এবং ডোনাল্ড তিরিপানো।

৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান দিওন মায়ার্স এবং ডোনাল্ড তিরিপানো দিনের প্রথম ঘন্টা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন। মায়ার্স-তিরিপানোর জুটি ভাঙ্গেন মেহেদী হাসান মিরাজ । শর্ট মিড উইকেটে সাদমান ইসলামের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মায়ার্স, এর আগে করেছেন ২৬ রান। তিন বল আবার মিরাজের আঘাত, ক্ল্যাসিক্যাল অফ স্পিনে টিমিসেন মারুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন মিরাজ। বাকিটা সময় শুধুই তাসকিন আহমেদের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন । মিরাজের শিকার তিনটি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply