fbpx

হাসিনা-মোদি বৈঠক, কী থাকবে কী থাকবে না!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আজ শুক্রবার জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বৈঠকে বসবেন তিনি।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে থাকবে দুই দেশের নানান অভ্যান্তরীন ও রাজনৈতিক বিষয়।

দুই দেশের মধ্যে আজ তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বৈঠকের আগেই সমঝোতা স্মারকগুলোর স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মূলত কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের সাধারণ নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণের জন্য দুই দেশের মধ্যে আজ প্রত্যাশিত সমঝোতা স্মারক তিনটি সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টায় দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেলা সোয়া ১টায় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটির অবতরণের কথা রয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টায় নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়া একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করবেন নরেন্দ্র মোদি। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুসহ নির্বাচন প্রসঙ্গেও আলোচনায় হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান টানাপড়েনের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে ভারত। নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও ৮ সেপ্টেম্বর এক নৈশভোজে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান করা হোটেলে ইন্ডিয়ান কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

খসড়া সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের দুই অধিবেশনের সাইডলাইনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ান, রিপাবলিক অব কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্ট তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভোলা আহমেদ তিনুবি প্রমুখের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খসড়া তালিকা সূত্রে জানা গেছে।

জি২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে অংশ নেবেন। সম্মেলনের শেষ দিনে জি২০ নয়াদিল্লি ঘোষণা গৃহীত হবে। ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে আসবেন।

মূল প্রতিপাদ্য ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচারের’ আওতায় সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে বিশ্ব সম্প্রদায়, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি-খাদ্যপণ্য-সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরবেন তিনি।

গতকাল জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত এক কার্টেন রেইজারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে সুগভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিভিন্ন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমমনা অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ককে গভীরতর করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে সরকারের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্যসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply