fbpx

হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এজবাস্টনে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ইংলিশদের জয় ৩ উইকেটে। জেমস ভিন্সের অনবদ্য শতকে বিফলে গেছে বাবর আজমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে ফখর জামানকে ফেরান সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করা সাকিব মাহমুদ। এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং অধিনায়ক বাবর আজম। তাদের প্রায় ২০ ওভারের জুটিতে এসেছে প্রায় ১০০ রান। ততক্ষণে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ইমাম। ম্যাট পারকিনসনের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ইমাম নামের পাশে যোগ করেছেন ৫৬ রান।

এরপর লাইমলাইটের সবটুকু আলো কেড়ে নেন বাবর আজম। উইকেটের চারদিকে দুর্দান্ত সব শট খেলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৪তম শতক। অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হয়েছেন দলকে নিয়ে গেছেন তিনশর দোরগোড়ায়। নামের পাশে তখন ৫৮ বলে ৭৪ রানের ক্যামিও। কিছুক্ষণ পর ফিরেছেন বাবর আজম, খেলেছেন ১৫৮ রানের দুরন্ত ইনিংস। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৩৩১ রানে। ৬১ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন ব্রাইডন কার্স। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার।

বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শাহীন আফ্রিদির প্রথম ওভারেই ১৬ রান নেন ফিল সল্ট। যেটা ওয়ানডেতে প্রথম পাকিস্তানি বোলার হিসেবে প্রথম ওভারে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড। পরের ওভারেই অন্য ওপেনার ডেভিড মালানকে শূন্য রানে ফেরান হাসান আলী। মালান ফিরলেও ইংল্যান্ডের আক্রমনাত্মক ব্যাটিং থামেনি। যেমনটা গত ছয় বছর ধরেই চলছে। যত যাই হয়ে যাক, ইংল্যান্ড সব আক্রমণের জবাব আক্রমণ দিয়েই দেয়।

সল্টের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন জ্যাক ক্রলি। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রলি যখন আউট হয়েছেন, ১২ ওভারে ইংলিশদের রান তখন ১০০ পেরিয়েছে। তার আগেই ফিরেছেন সল্ট। দুজনেই ফিরেছেন সেট হয়ে। সল্ট করেছেন ২২ বলে ৩৭, ক্রলি ৩৪ বলে ৩৯। তখন ক্রিজে জেমস ভিন্সের সঙ্গী হন অধিনায়ক বেন স্টোকস।

২৮ বলে ৩২ করেছেন স্টোকস, এর মধ্যে জীবনই পেয়েছেন তিনবার। তিনবার জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে না পারার হতাশা হয়তো পোড়াবে ইংলিশ ক্যাপ্টেনকে। জন সিম্পসনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। এরপর ভিন্সের সঙ্গে যোগ দেন লুইস গ্রেগরি। হারের মুখ থেকে ইংল্যান্ডকে জয়ের দিকে ধাবিত করেন ভিন্স-গ্রেগরি।

শেষ দশ ওভারে জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ৬২ রান। ক্রিজে তখনও ভিন্স-গ্রেগরি। ওই ওভারেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন জেমস ভিন্স। ভিন্স এবং গ্রেগরি আউট হয়ে গেলে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও আবার হারের কাছে চলে যায় ইংল্যান্ড। তবে সেখান থেকে উদ্ধার করেন ক্রেইগ ওভার্টন আর ব্রাইডন কার্স। শেষ পর্যন্ত ১২ বল হাতে রেখে ৩উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড।

Advertisement
Share.

Leave A Reply