fbpx

২০২০ সালে নির্যাতনের শিকার ৪৪ জন গৃহকর্মী : বিলস

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২০ সালে মোট ৪৪ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস্)।

সংস্থাটি বলছে , ২০২০ সালে মোট ৪৪ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে হত্যা এবং ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্য, ধর্ষণের শিকার ১২ জন, শারীরিক আঘাত ও নিপীড়নের শিকার ১২ জন এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চারজন আত্মহত্যা করেছেন।

রবিবার (৩১ জানুয়ারি) গৃহশ্রমিকের অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষায় “সুনীতি” প্রকল্পের উদ্যোগে “২০২০ সালে গৃহশ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি এবং তাদের আইনি সুরক্ষা” শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল পর্যালোচনা সভায় এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিলস্, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, হ্যালোটাস্ক, নারী মৈত্রী, রেডঅরেঞ্জ ও ইউসেপ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে “সুনীতি” প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।

এই ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড কমিশনার কার্যালয়ে গৃহশ্রমিকদের নিবন্ধন চালু করা জরুরি যাতে করে প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার পর্যায় থেকে দুর্যোগকালীন সময়ে তাদের সহায়তার বিষয়ে সরকারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।

এছাড়াও গৃহশ্রমিকদের কাজের ধরণ অনুযায়ী পূর্ণকালীন ও খণ্ডকালীন হিসেবে আইন ও নীতিমালায় পৃথকভাবে বিবেচনা করলে তাদের আইনগত সুরক্ষার বিষয়টিও পরিষ্কার হবে বলে তারা মনে করেন।

পাশাপাশি গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, শ্রম আইনে তাদের অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং গৃহশ্রমিকদের জন্য শোভন কাজ শীর্ষক আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসমর্থনের দাবি জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিলস্ যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান। আর সঞ্চালনা করেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবুল হোসাইন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব ও বিলস্ পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন।

সেখানে নাজমা ইয়াসমীন বলেন, ‘২০২০ সাল ছিল করোনা পরিস্থিতির কারণে সংকটময় একটি বছর। এই বছর গৃহশ্রমিকের জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। করোনাকালীন সময়ে মৃত্যুভয় থাকা সত্ত্বেও গৃহশ্রমিকদের নির্যাতন তাদের জন্য আরেকটি আতঙ্কের মাত্রা যোগ করেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘শ্রম আইনে গৃহশ্রমিকদের অন্তর্ভূক্তি, গৃহকর্মী কল্যাণ নীতিমালায় গৃহশ্রমিকদের কর্মঘন্টা নির্ধারণ, বিশ্রামের সুযোগ এবং সংগঠন করার অধিকারের কথা বিবেচনায় রেখে নীতিমালাটি পুনরায় রিভিউ করা প্রয়োজন।’

এছাড়া গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা বাস্তবায়ন ও নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে যে মনিটরিং সেল আছে, সেটিকে সক্রিয় করা দরকার। এর মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রমকে বিভাগীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের মত গৃহশ্রমিকদেরও নিয়োগপত্র, নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা এবং নির্দিষ্ট মজুরি থাকা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সভপতির বক্তব্যে ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, গৃহশ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে শ্রম আইনে অন্তর্ভূক্ত করা এখন সময়ের দাবি। তিনি গৃহশ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply