fbpx

৩ দিনে কক্সবাজারে ৫০ কোটি টাকা আয়ের প্রত্যাশ্যা ব্যবসায়ীদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

টানা তিন দিনের ছুটিতে গোটা বংলাদেশ। এই সময়কে কাজে লাগাতে তাই ভ্রমণপিপাসু মানুষ দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় জমাচ্ছে।

এতো মানুষ কক্সবাজারে বেড়াতে গেছে যে, হোটেল-মোটেলসহ গেস্ট হাউসের প্রায় সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, তিন দিনের এই ছুটিতে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় হবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলসহ গেস্ট হাউসের সংখ্যা ৫১৬টি। যেখানে অন্তত তিন লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব হোটেল-মোটেলের প্রায় সবকটি কক্ষই অগ্রিম বুকিং হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে মাঠে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশও।

হোটেল ব্যবসায়ীরা ছাড়াও ওয়াটার বাইক, ফটোগ্রাফার ও হকাররা পার করছেন ব্যস্ত সময়।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সকল গুজব বা নানা সমালোচনার মধ্যেও ভালো ব্যবসার আশা জেগেছে। দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা বা করোনার থাবা থেকে মুক্ত হয়ে বড় কোনো ব্যবসার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ৫১৬টি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের প্রায় শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পর্যটন নগরীতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটক।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, ‘১৭-১৯ তারিখের জন্য সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। সব খাতে মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসার আশা করছি।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকা তিনটি পয়েন্ট অতি গুরুত্ব দেয়া হবে। এর বাইরেও যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।’

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টানা ছুটিতে সৈকত এলাকা, হোটেল-মোটেল জোন ও পর্যটন স্পটগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ রাতের বেলায় মোটরসাইকেলযোগে টহলে থাকবে। আশা করি, পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে টানা ছুটিতে কক্সবাজার ঘুরতে পারবেন।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply