যদিও অনিচ্ছাকৃত কিন্তু অপরাধ তো অপরাধই। আর তার শাস্তিও পেতেই হয়। ঘটনা এতটাই ভয়াবহ যে কোনোভাবেই শাস্তি এড়ানো যায় না। তাই ঘটনার জেড়েই ৩ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হলেন মার্সেলো।
বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় লুসিয়ানো সানচেজের পা মাড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্সেলো। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলে সানচেজের পায়ের হাড়ের দুই অংশ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ঘটনার ১০ দিন পর মার্সেলোকে এই নিষেধাজ্ঞা দিলো দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল। ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ছয় হাজার ইউরো জরিমানাও গুনতে হবে ব্রাজিলের সাবেক তারকাকে।
গত সপ্তাহে কোপা লিবার্তাদোরেসে ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের মধ্যকার শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে ভয়ংকর দুর্ঘটনাটি ঘটে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে বল পায়ে দৌড়ানোর সময় জুনিয়র্সের ডিফেন্ডার লুসিয়ানো সানচেজের বাঁ পা অনিচ্ছাকৃতভাবে মাড়িয়ে দেন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক লেফটব্যাক মার্সেলো। এতে তাঁর বাঁ পায়ের দুই হাড় পাটকাঠির মতো পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মার্সেলোকে তখনই লাল কার্ড দেখানো হয়। নিজের এই অনিচ্ছাকৃত অপরাধের জন্য মাঠ ছাড়ার সময় কান্নাইয় ভেঙে পরেন মার্সেলো।
আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সের চিকিৎসক আলেহান্দ্রো রনকোনি কাল ডি স্পোর্টস রেডিওকে সানচেজের চোট নিয়ে বলেছিলেন, ‘চিকিৎসক হিসেবে ২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি কখনো এমন কিছু দেখিনি। উর্বস্থি (ফেমার) ও অনুজঙ্ঘাস্থি (ফিবুলা) প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
রনকোনি জানিয়েছিলেন, পায়ের দুই হাড় সংযুক্ত করতে সানচেজকে বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং সেরে উঠতে ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগবে।