ঢাকা ও দিল্লি শিগগিরই ছয়টি রেল সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। ভারত ও নেপাল সংযুক্ত হবে দুটি রেল সংযোগের মাধ্যমে। এভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নতুন নতুন যোগাযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে রেলপথ দক্ষিণ এশিয়ার পরিধিকে দ্রুত কমিয়ে আনছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এলবিএসএনএএ) ভারতের প্রতিবেশী সম্পর্কে প্রশিক্ষণ মডিউলের উদ্বোধনী অধিবেশনে গতকাল বুধবার এসব কথা জানান তিনি।
শ্রিংলা জানান, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণাধীন রয়েছে এবং একটি এলএনজি ক্রস বর্ডার পাইপলাইন এবং এলএনজি টার্মিনাল সম্ভ্যব্যতা যাচাই চলছে। ভারতের পাওয়ার গ্রিডগুলো তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে একীভূত হচ্ছে।
ভারতীয় পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে উচ্চ ক্ষমতার সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত। ভারত বাংলাদেশকে প্রায় ১১৬০ মেগাওয়াট, নেপালকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট এবং ভুটানকে ১.৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রিংলা বলেন, ভারত এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সক্ষমতা তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভুটানে ২১০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ তৈরি করেছে। এটি আরো বাড়ানো হবে। এছাড়া ভারত বাংলাদেশে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প নির্মাণ করছে বলে তিনি জানান।
ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশীরা প্রথম এবং সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণ একটি সম্পূর্ণ পরিচয় তৈরি করতে পারে। তাই এ অঞ্চলে আমাদের নীতি কানেক্টিভিটি বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়। এ কানেক্টিভিটিগুলো হলো সরাসরি মানুষে মানুষে যোগাযোগ, অর্থনৈতিক, জ্বালানি এবং ডিজিটাল যোগাযোগ। এ সময় প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আরো বলেন, সড়ক; জল; রেল ও আকাশপথে আমাদের আশেপাশের কিছু অংশের মধ্যে পরিবহনের মাধ্যমে সংযোগের ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে।
মহামারী আঘাত হানার পর বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে আমাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফর করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার একটি বিশেষ সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে রাষ্ট্র প্রধানগণ এ সফর করেছেন বলেও জানান ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব।
