আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া টাইটান সাবমেরিনটি বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার।
তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে টাইটানের বড় পাঁচটি টুকরার সন্ধান পাওয়া গেছে। সাবমেরিনটি বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন এবং কখন এটি ঘটেছে সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে।
সাবমেরিন টাইটানের সব আরোহীই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। ওই সাবমেরিনের পাঁচ আরোহীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ইউএস কোস্টগার্ড এবং সমগ্র ইউনিফাইড কমান্ডের পক্ষ থেকে মারা যাওয়া আরোহীদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এ ঘটনা কোনোভাবেই ভুলে যাওয়ার মতো নয়।
রোববার (১৮ জুন) ওশানগেটের সাবমারসিবল ডুবোযান টাইটান পাঁচ আরোহী নিয়ে কানাডা উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে যায়। এর ঠিক পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত পাঁচ-ছয় দিন ধরেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হারিয়ে যাওয়া ডুবযান টাইটান।
এরপর থেকে এটিকে খোঁজার সব রকমের চেষ্টা চালায় মার্কিন কোস্টগার্ডের পাশাপাশি কানাডার কোস্টগার্ড সদস্যরা।যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী জাহাজের সমন্বয়ে চলে শ্বাসরুদ্ধকর এ অভিযান। শেষ সময়ে এসে বাড়ানো হয় অভিযানের ব্যাপ্তিও। আটলান্টিকের তলদেশে প্রায় ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চালানো হয় চূড়ান্ত পর্বের অভিযান।
সেই সাথে আনা হয় পানির তলদেশে চলাচলে সক্ষম ভিক্টর ৬০০০ নামে রোবোটিক্যালি অপারেটেড একটি ফরাসি ভেহিক্যাল। এটি ডুবোযানটিকে পানির ওপর ভেসে উঠতে বাধাদানকারী কোনো কিছু শনাক্ত হলে সেটিকে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম। এ অনুসন্ধানে বৃহস্পতিবার সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্টগার্ড।