fbpx

যে পর্বতে গেলে বয়স বেড়ে যায়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাহাড় এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার হওয়া সত্ত্বেও এর চূড়ায় ঠিকই পবর্তারোহীদের পা পড়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমটা ঘটেছে এক পর্বত কৈলাসের বেলায়। প্রকৃতির এক বিস্ময় লুকিয়ে আছে কৈলাস পর্বতে। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর মাঝে হিমালয় পর্বত অবস্থিত। এর কেন্দ্র হল কৈলাশ পর্বত।

যে পর্বতে গেলে বয়স বেড়ে যায়

হিমালয়ের কৈলাশ পর্বত নিয়ে রহস্য আর পৌরাণিক কাহিনীর শেষ নেই।বিজ্ঞানে কৈলাশ পর্বতকে পৃথিবীর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পর্বতটি হিন্দু, বৌদ্ধ, বন এবং জৈন ধর্মের অগণিত মানুষের কাছে পবিত্র জায়গা হিসেবে বিবেচিত। কৈলাশ পর্বতের চূড়ায় ওঠা নিষিদ্ধ। তবে একাদশ শতকে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু যোগী মিলারেপা কৈলাশ পর্বতে ওঠেন। তিনিই প্রথম যে কৈলাশ পর্বতে ওঠেন এবং সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। তবে ফিরে আসার পর তিনি নিজের এই যাত্রা সম্পর্কে কিছু বলেন না। যার ফলে এটি আজও রহস্য হয়ে রয়েছে।

 

যে পর্বতে গেলে বয়স বেড়ে যায়

আধুনিক পর্বতারোহীরাও বলছেন, মাউন্ট কৈলাস জয় করা অসম্ভব বিষয়। তবে এর কারণ আজও জানেন না কেউ। জানা যায়, এ পর্যন্ত যারা কৈলাস পর্বতে ওঠার চেষ্টা করেছেন; তাদের সঙ্গেই ঘটেছে অতিপ্রাকৃত ঘটনা। কিছুক্ষণ পরই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অকালবার্ধক্য চলে আসে পর্বতারোহীর শরীরে। এমনকি মাথার চুল ও হাতের নখ বাড়তে থাকে দ্রুতগতিতে! সাধারণভাবে মানুষের নখ-চুল যে হারে বাড়ে, কৈলাস পাহাড়ে অন্তত ১২ ঘণ্টা কাটালে না-কি এ বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ রকম হাজারো বিস্ময়ের ধারক ও বাহক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কৈলাস পর্বত। যদিও এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনো মেলেনি।

যে পর্বতে গেলে বয়স বেড়ে যায়

ধর্মীয় প্রচলিত বিশ্বাস, যেহেতু কৈলাশে দেব-দেবীর বাস, তাই কোনও মানুষ সেখানে যেতে পারে না। সেখানে গেলেই দেবতাদের রোষে পড়তে হবে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। হিন্দু ধর্মীয় পুরাণে কৈলাস পর্বতকে শিবের ‘লীলাধাম’ বলা হয়েছে। হিন্দুদের ধারণা শিব ও তার সহধর্মিনী দুর্গা এবং কার্তিক-গণেশ ও শিবের অনুসারী ভক্তরা কৈলাশে বাস করেন।জৈনধর্মের অনুসারীদের জন্য, কৈলাশ একটি পবিত্র শিখর এবং মেরু পর্বত উভয়ই, যা মহাবিশ্বের কেন্দ্রকে ব্যক্ত করে। বন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন টনপা শেনরাব মিভোচে। তিনি প্রায় ত্রিশ হাজার বছর আগে ওলমো লুং রিংয়ের আধ্যাত্মিকভাবে নিখুঁত জায়গায় বাস করতেন, যেখানে কেবল আলোকিত প্রাণীরা যেতে পারে। বেঁচে থাকা বর্ণনা অনুসারে, এই জায়গাটি শাবলাল, কৈলাশ পর্বত এবং মেরু পর্বতের রহস্যময় দেশ সম্পর্কে ধারণার মিশ্রণের মতো দেখাচ্ছিল।

যে পর্বতে গেলে বয়স বেড়ে যায়

অনেকে বলেন, কৈলাস পর্বত ভেতর থেকে ফাঁপা। কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন, ‘ওম’ শব্দ কৈলাস পর্বত থেকে আসে।  এ পর্বতের একদম চূড়ায় কোনো বরফ জমে না। কারণ পর্বতটি এতটাই খাড়া যে, বরফ নিচে পড়ে যায়। আর ওই বরফ গলে গিয়ে উৎপত্তি হয় নদীগুলোর। মরুভূমির মতো স্থানে শ্বেত-শুভ্র পর্বত হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে কৈলাস। হিমালয়ের প্রথম ও প্রধান রেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে পর্বতটি। চারটি নদী দ্বারা বেষ্টিত কৈলাস পর্বতকে দেখলে পিরামিড মনে হয় । অনেকে তো আবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ পিরামিডও বলে থাকেন। পিরামিডের মতোই খাড়া, তাই হয়তো কেউ উঠতে পারেনি। আরও অদ্ভুত বিষয় হলো, বিজ্ঞানীরা বলছেন কৈলাসে নাকি কোনো চুম্বকীয় ক্ষেত্র নেই। যে কারণে কোনো কোনো কম্পাস কাজ করে না।

যে পর্বতে গেলে বয়স বেড়ে যায়

তবে এতসব রহস্য থাকলেও কৈলাস পর্বত ধর্মীয় দিক থেকে একটি অনন্য স্থান দখল করে আছে। এই পর্বতের রহস্য উদঘাটন করতে না পারলেও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবশ্যই মানুষকে বিমোহিত করবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply