fbpx

নরকের দরজা কোথায় আছে জানেন?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মরুর বুকে বিশাল এক গর্ত। এই গর্তে দিন রাত অবিরাম আগুন জ্বলছে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। নরকের দরজা বা হেল ডোর, নামটি শুনে নিশ্চয়ই শরীরে কাঁটা দিচ্ছে!

নরকের দরজা কোথায় আছে জানেন?

 

বিশ্বের ভয়ঙ্কর স্থানগুলোর অন্যতম হলো এই নরকের দরজা। এর অবস্থান তুর্কেমেনিস্তানের কারাকুম মরুভূমির দারভাজা নামের এক গ্রামের কাছে। বিশাল গোলাকার এক গর্ত। দাউ দাউ করে সেখানে জ্বলছে আগুন। দেখে মনে হয় এই গর্ত দিয়েই বুঝি প্রবেশ করতে হয় নরকে! কতটা ভয়ঙ্কর অনুভূতি একবার কল্পনা করে দেখুন। এই গর্তে একবার পড়লে মৃত্যু অনিবার্য। মৃতদেহেরও সন্ধান মিলবে না।

নরকের দরজা কোথায় আছে জানেন?

স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই দরজা দিয়েই যেতে হয় নরকে। তাই মুখে মুখে এর নাম পেয়েছে নরকের দরজা বলে। অনেকে আবার একে ডেভিল সুইমিংপুল বলেও ডাকে।

 

 

প্রচণ্ড উত্তাপ হওয়া স্বত্ত্বেও স্থানটি পরিণত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্রে। অনেকে আবার এটিকে ডেভিলস সুইমিংপুল বা শয়তানের সুইমিংপুল বলে ডাকেন। এটি আসলে একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৭১ সাল থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা আগুন জ্বলছে স্থানটিতে। এই গর্তটির ব্যাস ৬৯ মিটার এবং গভীরতা ৩০ মিটার।

নরকের দরজা কোথায় আছে জানেন?

 

এ নিয়ে যদিও অনেক মতভেদ আছে। জানা যায়, ১৯৭১ সালে তুর্কেমেনিস্তান সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কয়েকজন সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিক তখন খনিজ তেলের সন্ধানে কারাকুম মরু অঞ্চলে অভিযান শুরু করেন। এই উদ্দেশ্যে ড্রিলিং শুরু করলে কিছুদিনের মধ্যে তারা টের পান ভূ-গর্ভস্থ গ্যাসের এক ভাণ্ডারের উপরেই বসে আছেন তারা।

নরকের দরজা কোথায় আছে জানেন?

এরপর এর কয়েক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এই গ্যাসক্ষেত্রকে মুক্ত করা হয়েছিল। তবুও সেখানকার ভূ-গর্ভে জমে থাকা প্রাকৃতিক গ্যাস পুরোটা বের করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভূ-পৃষ্ঠের একটা বড় অংশ তারা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল গ্যাসক্ষেত্র থেকে বিষাক্ত গ্যাস আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তাই তারা এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে অগ্নিসংযোগ করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply