রাজার মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি অর্জনের পালক। লিওনেল মেসির হাতে উঠলো ৮ম ব্যালন ডি’অর। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ৮ম ব্যালন ডি’অর জয় অনেকাংশেই নিশ্চিত করে ফেলছিলেন এই ফুটবল জাদুকর। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাসের অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত সোনালি বলটি উঠল মেসির হাতেই।
সোমবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম ঘোষণা করেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম।
ব্যালন ডি’অর ২০২৩ জেতার দৌড়ে মেসি এবার পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা আর্লিং হলান্ড এবং পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।
মেসির নাম ঘোষণার পর উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানান। পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেছেন, ‘মুহূর্তটা উপভোগের জন্য এখানে আরেক উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত।’ এ সময় বিশ্বকাপ জেতা নিয়েও নিজের অনুভূতিটা আরেকবার জানান মেসি, ‘বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার স্বপ্ন। এটা খুবই বিশেষ ব্যাপার ছিল যে, অন্য দেশের মানুষরাও চেয়েছে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক।’
নিজের অর্জন নিয়ে মেসি আরও বলেছেন, ‘আমার এমন ক্যারিয়ার আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি যা অর্জন করেছি তা করার জন্য আমার ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন ছিল। আমি বিশ্বের সেরা দলে খেলেছি, ইতিহাসের সেরা দলে খেলেছি। এটা আমার জন্য ট্রফি জেতা এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতার কাজটাকে সহজ করেছে।’
এই আয়োজনে মেসির সঙ্গে ছিলেন তাঁর তিন ছেলে ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। এদিন আইভরি কোস্টের কিংবদন্তি ফুটবলার দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে পুরস্কার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ফরাসি সাংবাদিক ও উপস্থাপক স্যান্ডি হেরিবার্ট।
ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে। এ সময়ে ৪২ গোল ও ২৬ অ্যাসিস্ট করেন মেসি। সাবেক ক্লাব পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানসহ দুটি শিরোপা জেতেন তিনি। তবে তাকে ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল বিশ্বকাপ জেতার কারণে।
এবারের ব্যালন মেসির হাতে ওঠায় নিজের নামের পাশে এক রেকর্ডও যোগ করে ফেলেছেন বর্তমান ফুটবলের এই রাজা। প্রথম ফুটবলার হিসেবে তিনটি ভিন্ন ক্লাবে থাকাকালে ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি। এর আগে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়ে মোট সাতবার ব্যালন ডি’অর জেতেন তিনি।
অথচ গত বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে মনোনয়ন পাওয়া ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেই ছিলেন না মেসি। সেই ধাক্কা সামলে এবার তিনি ফিরলেন ও জয় করলেন। একইভাবে চলতি বছর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা মেলেনি পর্তুগাল ও সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। ব্যালন ডি’অর জয়ের পরিসংখ্যানে মেসির পরেই তার অবস্থান।