সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার বিচার ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে’ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রবিবার (৭ মার্চ) সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে শুনানি শেষে এ মামলা স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয়।
আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলা, গৃহবধূর স্বামীর কাছে চাঁদাদাবি এবং ছিনতাইয়ের মামলা একসঙ্গে একই আদালতে বিচার করার আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
সেই আদেশের পর মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এরই মধ্যে এই সংক্রান্ত নথিপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর গেজেট প্রকাশের পর মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান রাশিদা সাইদা।
আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে গত ১৭ জানুয়ারি মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।
এই ঘটনায় পরদিন সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।