চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। মিতু হত্যার দায়ে স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে নিজে মাললা দায়ের করলেও এখন সে নিজেই এই মামলার প্রধান আসামি।
এছাড়া স্ত্রী মিতুকে খুন করতে বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকাও দিয়েছেন খুনিদের। বিশ্বস্ত লোকজনকে দিয়ে পরিকল্পনামাফিক মিতুকে খুন করান বাবুল আক্তার।
মিতু হত্যার অন্যতম আসামি কামরুল সিকদার ওরফে মুসা । তার স্ত্রী বলেন বাবুল আক্তারের নির্দেশে তার স্বামী এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছিলেন।
মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার জানান, মিতু খুন হবার পর পুলিশ এসেছিল মুশা কে খুজতে। তারপর আমি এ হত্যার বিষয়ে মুসার কাছে কয়েকবার জানতে চেয়েছিলাম। প্রথমে মুসা কিছু বলে নি। পরে এক সময় মুসা আমাকে জানায়, বাবুলের নির্দেশে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মুসার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমার সন্তানদের কী হবে? বাবুল আক্তার তাকে শেল্টার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাবুল আমার স্বামীকে চিন্তা না করতে বলেছেন। কিন্তু তারপর আমার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। সেখান থেকে আজ পাঁচ বছর আমি মুসার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমি মুসার খোঁজ চাই।
এসময় তিনি বাবুল আক্তার ও মুসার সাথে হওয়া মিতু হত্যার নানা কথোপকথন সম্পর্কেও জানায়।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল। তবে পুলিশ তদন্তে তার সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন তার মামলায় অভিযোগ করেন, মিতু পরকীয়ায় বাধা হওয়ায় তাকে খুন করেন বাবুল।