সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি এক তরুণীর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে টিকটক, লাইকির মত বিতর্কিত অ্যাপসগুলোতে।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এই সকল বিতর্কিত অ্যাপসগুলো নিষিদ্ধ করার এখন সময় এসেছে।
এই অ্যাপস ব্যবহারকারীরা একে কেন্দ্র করেই নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, অ্যাপ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৮২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও অনেকাংশেই দায়ী। অপরাধ করে এখন আর কেউ পার পাচ্ছে না। এরপরও কেউ অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৫ জুন শনিবার রাজধানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এসব কথা বলেন র্যাব ডিজি।
এদিকে, ভারতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি ওই তরুণী দেশে ফিরে এসে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। এসময় ওই তরুণীর কাছ থেকে পাওয়া যায় ভয়ঙ্কর আরও সব তথ্য। পাচারকারী ও নিপীড়কদের সম্পর্কেও বর্ণনা দিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী।
তিনি বলেন, টিকটকের মাধ্যমে চক্রটির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। এই চক্রের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি ভারতে গ্রেফতার মগবাজারের ‘টিকটক’ হৃদয় বাবু এই চক্রের সমন্বয়ক। এরপরই নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।