fbpx

‘লাল তারকা চিহ্নিত’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায় ইউজিসি নেবে না

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লাল তারকা চিহ্নিত, সেগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

মঞ্জুরি কমিশন জানিয়েছে, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমাগত শর্ত ভেঙে চলেছে তাদের লাল তারকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে যাচাই করে ভর্তি হতে পারেন, সেজন্য ইউজিসির ওয়েবসাইটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী এগুলোর কোনো একটিতে ভর্তি হলে ওই শিক্ষার্থীর দায় ইউজিসি নেবে না বলে জানায়।

শুধু তাই নয়, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসেরও বেশি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ নেই, সেগুলোতে ভর্তি না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে ইউজিসি।

ইউজিসি থেকে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার সকলেই নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া, রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা ভিসি রয়েছে ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রো-ভিসি ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ট্রেজারার আছে ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে কেউ নেই। কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যাবলী’ শিরোনামের সেবা-বক্সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

ইউজিসি জানিয়েছে,ইবাইস ইউনিভার্সিটি অবৈধভাবে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। তাদের অনুমোদিত ঠিকানা, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ নেই।

লাল তালিকাযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে আদালতের রায় নিয়ে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ-সুবিধা নেই। কুইন্স ইউনিভার্সিটিকে এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে এটি কার্যক্রম চালু করতে পারেনি। দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’কে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ এটির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে বৈধ কর্তৃপক্ষ নেই। এই তালিকায় আরও আছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, টাইমস ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, গণবিশ্ববিদ্যালয়। এরাও লাল তালিকায় জায়গা পেয়েছে।

অবৈধ ক্যাম্পাস যাদের
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ বিশ্ববিদ্যালয়টির ধানমণ্ডি, শংকর, লালমাটিয়ায় কয়েকটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিরপুর রোডের শুক্রাবাদের ১০২/১, ১০০/বি, ১০৫ ক্যাম্পাস, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ পান্থপথে অবৈধ ক্যাম্পাস পারিচালনা করছে। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বনানীতে অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে মামলা
৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মামলা চলছে। এগুলো হচ্ছে—ইবাইস ইউনিভিার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা
অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন পায়নি, সেগুলো হলো—নারায়ণগঞ্জের রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর  শাহমখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনার খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার মাইক্রোল্যাব ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং কিশোরগঞ্জের শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এছাড়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply