fbpx

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী গ্রেপ্তার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরা নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, আয়াতুল্লাহ বুশরা ফারদিন নূর পরশের বান্ধবী।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (এসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘মামলায় একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি বুশরা। মামলার পর তাকে এজাহারনামীয় হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তথ্য তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বুশরাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বলেন, ‘বুশরা নামের মেয়েটা ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ঘটনার দিন বিকাল থেকে আমার ছেলে ওই মেয়ের সঙ্গেই ছিল। তাদের সম্পর্ক প্রায় পাঁচ বছরের, বিতর্ক করতে গিয়ে পরিচয়। কিন্তু আমার ছেলের মৃত্যুতে সে ভেঙে পড়ে নাই।’

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারদিন নূরের বান্ধবীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।’

পুলিশ জানায়, ফারদিন নূরের ওই বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। চার বছর ধরে ওই বান্ধবীর সঙ্গে ফারদিনের যোগাযোগ রয়েছে।

ফারদিন নূর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থী ছিলেন। বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে তার সিট থাকলেও পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।

গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন দ্য রিভারাইন নামে ব্যবসাবিষয়ক একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। আর ফারদিনের মা সাহারা খাতুন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।

গত শুক্রবার রাত থেকে ফারদনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানান তার বাবা নূরউদ্দিন রানা। সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশের ফোন পেয়ে সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিনের সহকর্মী নাবিন চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সর্বশেষ এক বান্ধবীর সঙ্গে ছিল ফারদিন। ওই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, বিকেলে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আসে ফারদিন। সেখান থেকে বান্ধবীসহ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। সেখান থেকে টিএসটিতে যায়। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে রামপুরায় বিটিভির সামনে পর্যন্ত বান্ধবীকে এগিয়ে দেয়। এরপর ওই বান্ধবী আর ফারদিনের খবর পায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রামপুরা থানায় জিডি করার পর পুলিশ ফারদিনের মোবাইল ট্র্যাকিং করে কেরানীগঞ্জ ও ডেমরার লোকেশন পায়। দুই জায়গাতেই খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ সোমবার নৌ-পুলিশের ফোন পেলাম।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply